কেন্দ্রীয় হারে DA-চূড়ান্ত/SAT কি রায় দিয়েছিল জানুন।


কেন্দ্রীয় হারেই DA- একপ্রকার চূড়ান্ত

SAT কি রায় দিয়েছিল জানুন





হাইকোর্টের রায় থেকে একদম পরিষ্কার করে বলা যায় ডি এ আর দয়ার দান নয়। মৌলিক অধিকার কর্মচারীদের অধিকার। এতদিন ধরে সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে এবং হচ্ছে। হাইকোর্ট একদম পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিয়েছে DA নিয়ে বাংলায় যা হচ্ছে তা একদম আইনের বাইরে। কারণ কর্মীরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
     হাইকোর্ট পরিষ্কার করে বলে দিয়েছে তিন মাসের মধ্যেই সমস্ত দাবি-দাওয়া মিটিয়ে দিতে হবে অর্থাৎ SAT  এর রায়কে মান্যতা দিতে হবে। তিন মাস অর্থাৎ 90 দিন। আজ থেকে 90 দিনের মধ্যে সমস্ত কিছু পাওনা মিটাতে হবে। সত্যিই কি এই যে দিয়ে বকেয়া ডিএ তাদের দাবি সেই দাবি কি মিটবে নাকি নতুন করে আবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সম্ভাবনা রইল। মামলাকারীদের পক্ষ থেকে তারা জানিয়ে দিয়েছে যে সুপ্রিমকোর্টে যদি তারা মামলা করে অর্থাৎ সরকারপক্ষ যদি সুপ্রিম কোর্টে যায় তবুও সেখানেই এই আইনি লড়াই চলবে এবং সঙ্গে সঙ্গে এটাও তারা বলছেন যে সুপ্রিম কোর্টে কর্মচারিদের ই জয় হবে।
    কিছুদিন আগেই রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তরে কর্মী এবং ইঞ্জিনিয়ারদের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে DA কেন্দ্রের হারেই দিতে হবে। এছাড়াও আরও অনেক মামলা আছে যেখানে এই DA নিয়ে রায় কর্মচারীদের পক্ষেই গিয়েছে। সুতরাং কর্মচারীদের দাবি  রাজ্য সরকার যদি সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন সেখানেও রাজ্যের হার হবে।
    আজকের যে রায় তা অনেকেই জেনে গিয়েছেন। অর্থাৎ SAT এর যে রায় ছিল সেই রায়টিকে আগামী তিন মাসের মধ্যে মান্যতা দিতে হবে। 

     এবার দেখে নেওয়া যাক SAT এর কি রায় ছিল।

1. আদালতের রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন যে রুপা রুল অনুযায়ী এবং মুদ্রাস্ফীতির সমানে AICPI এর নিয়ম অনুসারে এই আদেশ দেওয়ার তারিখ হতে তিন মাসের মধ্যে নিয়মনীতি প্রকাশ করতে হবে যাতে বছরে অন্তত দুইবার মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয় 6th Pay Commission এর প্রয়োগের তারিখের আগে।
2. আদালত আরো বলেছে প্রাইস ইনডেক্স মত সরকারি কর্মীদের আগামী এক বছরের মধ্যে বা 6th Pay Commission কার্যকর তারিখের আগের মধ্যে যেটি আগে হবে সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে।

আদালত বললেও এই রায় কিন্তু রাজ্য কার্যকর করেনি। বারবার জানানোর পরেও তারা কার্যকর করেনি এবং পরবর্তী সময়ে তারা হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করে। আজ সেই মামলার রায় হলো। সেই রায় পরিষ্কার SAT যে রায়গুলো দিয়েছিল সেগুলো কে মান্যতা দিতে হবে।
   অনেকেই এ ক্ষেত্রে বলছেন যে তাহলে কেন্দ্রীয় হারে DA দিতে হবে একথাটা কিভাবে এলো। পরিষ্কার সেই রায়ের  মধ্যেই ছিল মূল্যবৃদ্ধি সূচক এই কথাটি। অর্থাৎ AICPI অনুযায়ী মহার্ঘভাতা দিতে হবে এবং বকেয়া দিতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার এই নিয়মেই DA দিয়ে থাকে। এবং আরো একটি বক্তব্য বছরের ন্যূনতম দুবার ডি এর কথা উল্লেখ আছে সুতরাং কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হবে।
     আজকের রায়ের পর শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। বিভিন্ন কর্মী সংগঠন পরিষ্কার করে বলেছে যে রাজ্য সরকার আজকের এই রায় কে মান্যতা দিবে এবং কর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবি এবং বঞ্চনা মেটাবে। যদি কেন্দ্র সুপ্রিমকোর্টে এই মামলাটির নিয়ে যায় তাহলে সেখানেও লড়াই হবে এবং একটি বিষয় পরিষ্কার হবে যে এই সরকার কর্মচারীদের দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল নয় ।
    অন্যদিকে আরো একটি বক্তব্য ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকারের অর্থসংকট। কর্মীদের দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল হলেও অর্থ সংকটের জন্য তারা উচ্চহারে বেতন দিতে পারছেন না। আজ হাইকোর্ট এই বিষয়টিও গুরুত্ব দেয়নি। 
    অনেকেই মনে করছেন এই ধাক্কার পর হয়তোবা কিছু একটা ঘোষণা করবেন সরকার। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এই মামলার রায় নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। এখন লক্ষ্যণীয় বিষয় যে সরকার কর্মচারীদের দাবি এবং হাইকোর্টের রায় মান্যতা দেয় কিনা।

1 Comments

  1. ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না । পৈত্রিক সম্পত্তি সম্পত্তি, কবে দিব, দেব কি দেব না সেটা আমার মর্জি এটা কখনো চলতে পারে না ।

    ReplyDelete
Previous Post Next Post