ক্ষতি কার/School Service ও CBI আর কত জ্বলবে বেকার/পুনরায় ডিভিশন বেঞ্চ ও সুপ্রীম কোর্ট/কেন হাজিরা দিচ্ছেন না?

 School Service ও CBI/কেন হাজিরা দিচ্ছেন না?

অভিযোগ মানেই দোষী নয়, আবার নিজেরাই বলেন নির্দোষ তাহলে হাজিরায় ভয় কেন? যাচ্ছেন ডিভিশন বেঞ্চে SSC সুপ্রীম কোর্টে।



  SSC আর অনিয়ম এটা বলতে আর বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন নেই। আর এই অনিয়মের জালে জড়িয়ে পড়ছে শিক্ষিত বেকারেরা। বর্তমানে শুধু তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছু করার নেই তাদের। যারা পরীক্ষা দিয়ে তালিকাভুক্ত হয়ে অপেক্ষা করছেন কিন্তু এ অনিয়মের জালে আটকে পড়েছেন তাদের কথা ভাবুন তো। প্রতি বছর শুধু শিক্ষকতা করবে বলেই যারা B.Ed বা D.El.Ed করছেন তাদের কি অবস্থায় আছেন ভাবলে গা গরম হয়ে ওঠে কিন্তু বলার কোনো উপায় নেই।
    আর এই SSC অনিয়মে যুক্ত হয়ে মাথা উচু করে বলতে পারেন এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। যদি তাই হয় তাহলে CBI দপ্তরে যেতে ভয় কিসের। নিশ্চই সব তথ‍্য সঠিক আছে এবং মাথা উঁচু করে বলতে পারবেন আপনি নির্দোষ। আপনি দপ্তরে যান গিয়ে সব দেখান বলুন মুক্তি পেয়ে যান আর বেকার যুবক যুবতী দের পথ দেখান। নিয়োগ সম্পন্ন হোক এবং নতুন নিয়োগ হোক। মামলা সব শেষ। কিন্তু তা নয়, একের পর এক ডিভিশন বেঞ্চে আবার সুপ্রীম কোর্ট। যদিও আইনি অধিকার অবশ‍্যই আছে।

     অনিয়ম এমন জায়গায় পৌছে গিয়েছে যে কমিশনের পক্ষ থেকে স্বীকার করে নেন যে ভুল করে নিয়োগ করা হয়েছে। আবার Interview (Personality test) না দিয়েও চাকরি পেয়েছে এই হলো অভিযোগ। SSC নিয়োগ বহু বছর থেকে হয়ে আসছে কান্তু বর্তমান সরকার দুটো নিয়োগ করতেই এতটাই আইনি জালে নিজেদের জড়িয়ে নিয়েছে যে সেখান থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পাচ্ছে না। এমন নয় যে আগের নিয়োগে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি, উঠলেও আজকের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় নি।
      CBI তদন্তের নির্দেশ বহাল রইলো SSC চললো সুপ্রীম কোর্ট। অর্থাৎ মামলা আরও দীর্ঘদিন চলবে।এতে ক্ষতি কার, একমাত্র বেকার ছেলেমেয়েদের। না কমিশনের এতে ক্ষতি না সরকারের না শিক্ষা দপ্তরের।মামলা চলবে দীর্ঘ দিন নিয়োগ পিছিয়ে যাবে আর বাড়বে হতাশা। এই মুহূর্তে নিয়োগ সম্ভবত হবে না কারণ যে প্রশ্ন উঠেছে এই নিয়োগ নিয়ে তার প্রলেপ না পড়া পর্যন্ত নিয়োগ হবে না বলেই মনে হয়।
    আদালত বিচার নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় না । বুধবার থেকে গরমের ছুটি পড়ে যাচ্ছে আদলতে। সুপ্রীম কোর্টে যেন জরুরি ভিত্তিতে মামলা শোনা হয় তার আবেদন করতে চলেছে SSC । ভাবুন আপনার কোনো মামলা করতে হলে তার শুনানী কিভাবে কখন হতে পারে ? সরকারী মামলা গুলো জরুরী এবং জরুরী সবার আগে বেকার ছেলে মেয়েদের এই হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়া। কে দেবে মুক্তি।
    আর ঠিক এই অনিয়মের জন‍্যই আজ প্রশ্ন উঠছে সমস্ত শিক্ষক কূলের দিকে। একজন সাধারণ মানুষও প্রশ্ন এবং কঠাক্ষ করে আপনিও এই অনিয়মের মাধ‍্যমে এসেছেন।শিক্ষকদের শুনতে হয় দপ্তরটাই অনিয়মে ভরা তো পড়াবে আর কি শিক্ষকেরা।
    এভাবেই নিয়োগ প্রক্রিয়া বিলম্ব হবে আর শিক্ষক সংখ‍্যা কমতে কমতে ধুঁকবে স্কুল গুলো।ছাত্রছাত্রী কমবে দিন দিন।শেষে বন্ধ হবে স্কুল।হয়তো এটাই ইচ্ছে বাহাদুরদের।একদিকে নিয়োগ না করে বদলি গ্ৰামীন শিক্ষার মেরুদন্ড ভেঙ্গে যাচ্ছে অপর দিকে ছুটির প্রবনতায় শিক্ষার মান নিচের দিকে অন‍্য দিকে বেকাররা মানসিক ধ্বংসের মুখে।
    আর সরকারের কাছে অলাভজনক এই শিক্ষাকে মানব সম্পদ তৈরির থেকে বিরত রাখার প্রবনতা লক্ষ‍্য করা যায়। সরকারের এজন‍্য কিন্তু ক্ষতি নেই কারণ মানব সম্পদ তৈরি না হলে যে সম্পূর্ণ রাজ‍্যের ক্ষতি তা প্রত‍্যক্ষ করা যায় কয়েক বছর পর।তাৎক্ষণিক ক্ষতি উপলব্ধি হয় না।আর এই বিষয়টা সাধারণ মানুষের বোধগম‍্য হয় না। 
   যুক্তির বেড়া জালে শেষ পর্যন্ত ক্ষতি কিন্তু শিক্ষার আর এই অবক্ষয়ে তাৎক্ষণিক ক্ষতির বেকারদের।

Post a Comment

Previous Post Next Post